মেহজাবিন চৌধুরী (Mehazabien Chowdhury) বায়োগ্রাফি

বাংলাদেশী অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী
অভিনেত্রী মডেল মেহজাবিন চৌধুরী

মেহজাবিন চৌধুরী

বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী

মেহজাবিন চৌধুরী (জন্ম: ১৯ এপ্রিল ১৯৯১) বাংলাদেশের একজন মডেল ও অভিনেত্রী। উচ্চতাঃ ৫ফুট ৩ ইঞ্চি। তিনি ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ী হয়ে মিডিয়া জগতে পা রাখেন। বর্তমানে মেহজাবিন বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। উপহার দিয়েছেন দর্শকপ্রিয় ও উল্লেখযোগ্য অসংখ্য নাটক, কুড়িয়েছেন দর্শকদের প্রশংসা ও পুরষ্কার।

প্রাথমিক জীবন

মেহজাবিনের পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামে। ১৯ এপ্রিল ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ শুক্রবারে জন্মগ্রহণ চট্টগ্রামে করেন। কিন্তু শৈশবে বেড়ে উঠেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মেহজাবিন চৌধুরী ছিলেন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং এর ছাত্রী। ও লেভেলে পড়াশুনা করার সময় তিনি লাক্স সুন্দরী নির্বাচিত হন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।

অভিনয় জীবন | মেহজাবিন চৌধুরী

‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেহজাবিন চৌধুরী অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’। এ নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ। এরপর তিনি একে একে কাজ করেন ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’, ‘কল সেন্টার’, ‘মেয়ে শুধু তোমার জন্য’, ‘আজও ভালোবাসি মনে মনে’, ‘আনলিমিটেড হাসো’সহ বেশকিছু নাটকে।

২০১৩ তে শিখর শাহনিয়াত পরিচালিত নাটক ‘অপেক্ষার ফটোগ্রাফি’ ছিল মেহজাবীন এর জন্য বড় একটি টার্নিং পয়েন্ট। ২০১৭ সালে ঈদুল আযহায় মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় ‘বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয় করে আবারও শীর্ষে চলে আসেন এই অভিনেত্রী। দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয় মেহজাবীন ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব অভিনীত এই নাটকটি। ২০২০ সালে এই অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন গল্পকার হিসেবে। ‘থার্ড আই’ তার লেখা প্রথম নাটকের গল্প।

সমালোচনা | মেহজাবিন চৌধুরী

২০২১ সালের ঈদুর আজহায় মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত নাটক ঘটনা সত্য নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। রুবেল হাসান নির্মিত এ নাটকে বিশেষ শিশু বা স্পেশাল চাইল্ডদের বাবা-মায়ের ‘পাপ কর্মের ফল’ বলে ভুল বার্তা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নাটকটি চ্যানেল আইতে সম্প্রচারিত হওয়ার পর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে স্ট্রিমিং হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে নাটকটি নিয়ে সমালোচনা হয় এবং তুমুল আপত্তি উঠে। একাধিক সংগঠনও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় মেহজাবীন চৌধুরীসহ সিএমভির পুরো টিম দুঃখ প্রকাশ করে। পরে নাটকটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এই বায়োগ্রাফির কোনো তথ্য আপডেট বা যুক্ত করতে bartacenterbd@gmail.com এই ঠিকানায় ইমেইল করুন। ধন্যবাদ ***