আঁখি আলমগীর বাংলাদেশী সংগীত শিল্পী – Ankhi Alamgir

কন্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর
সংগীত শিল্পী আঁখি আলমগীর

আঁখি আলমগীর

বাংলাদেশী সংগীত শিল্পী ও অভিনেত্রী

আঁখি আলমগীর একজন বাংলাদেশী সংগীত শিল্পী, অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা। তিনি ১৯৮৪ সালে ভাত দে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তার ১৯টি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি অভিনেতা আলমগীর এবং গীতিকার খোশনূর আলমগীরের কন্যা। আঁখি আলমগীরের আদি শহর: নবীনগর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।

প্রারম্ভিক জীবন | আঁখি আলমগীর

আঁখি ১৯৭৫ সালের ৭ই জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলমগীর একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা এবং মাতা খোশনূর আলমগীর একজন গীতিকার। খোশনূরের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তার পিতা ১৯৯৯ সালে সঙ্গীত শিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন। ফলে রুনা লায়লা তার সৎ মা।

কর্মজীবন | আঁখি আলমগীর

আঁখি আলমগীর ১৯৮৪ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ভাত দে চলচ্চিত্রে কিশোরী জরি চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আঁখি প্রথম চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিদ্রোহী বধূ চলচ্চিত্রে। তখন তিনি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করতেন।

১৯৯৬ সালে আঁখি আলাউদ্দিন আলীর সুরে সত্যের মৃত্যু নেই চলচ্চিত্রে একটি গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৯৭ সালে তার প্রথম গানের অ্যালবাম প্রথম কলি প্রকাশিত হয়। পরের বছর তার সাড়া জাগানো বিষের কাঁটা অ্যালবামটিও প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের “বন্ধু আমার রসিয়া” ও “পিরীতি বিষের কাঁটা” গান দুটি শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

২০ বছর পর তিনি বাংলা ঢোলের ব্যানারে আলাউদ্দিন আলীর সুরে “বৈশাখী মেলা” গানে কণ্ঠ দেন। তাকে এই গানের ভিডিওতেও দেখা যায়। তার সাথে এই গানে আরো ৩২ জন নৃত্যশিল্পী অংশ নেয়। ভিডিওটি পরিচালনা করেন আশিকুর রহমান।

এছাড়া তিনি কবির বকুল রচিত এবং শওকত আলী ইমন সুরকৃত “ফাল্গুনে কৃষ্ণচূড়া” গানে কণ্ঠ দেন। তিনি তার বাবা আলমগীর পরিচালিত একটি সিনেমার গল্প চলচ্চিত্রের জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার রচিত একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি সুর করেছেন রুনা লায়লা। এটি রুনার প্রথম সুরারোপিত গান।

এই বায়োগ্রাফির কোনো তথ্য আপডেট বা যুক্ত করতে bartacenterbd@gmail.com এই ঠিকানায় ইমেইল করুন। ধন্যবাদ ***