হিরোকে জিরো বানাতে পারেনি, পারবেও না : হিরো আলম

বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা

রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৪৮

বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, ওবায়দুল কাদের স্যার বলেছেন, হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। এটা ভুল বলেছেন। হিরোকে কেউ কোনোদিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে, তারাই জিরো হয়েছে।

হিরো আলম

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে শনিবার রাত ৯টার দিকে ফেসবুক লাইভে তিনি এসব কথা বলেন।

হিরো আলম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের স্যার আজকে হিরো আলমকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। হিরো আলমকে নাকি বিএনপি ভোটে দাঁড়িয়ে দিয়েছে। আমার কথা আমাকে বিএনপি কেন দাঁড়িয়ে দেবে। তাহলে বিএনপির তো কোনো সাইনবোর্ড করতাম। বিএনপির কোনো লোককে কি ভোটের মাঠে দেখছেন, আমার পাশে কি বিএনপির কাউকে দেখা গিয়েছিল? আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছি। আমাকে বিএনপি ভোটে দাঁড় করে দেয়নি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে হিরো আলম বলেন, মির্জা ফখরুল স্যার বলেছেন, এই সরকার এখন অসহায় হয়ে গেছে। এই সরকার অসহায় হয়েছে কি না, আমি জানি না। তবে আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়েছি, এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে? আমার ভোটের ফলাফল যে কেড়ে নেওয়া হলো, এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে? আমি কার কাছে বিচার দেব। আমি যাদের কাছে বিচার দিতেছি, তারা কেউ বিচার করছে না।

আরও পড়ুন: আইসিইউতে অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবার বিচার তো আপনি করেন। আমি আপনার কাছে বিচার দিলাম। আমার ভোট সুষ্ঠুমতো হলো, কিন্তু ভোটের ফলাফল সুষ্ঠুমতো রায় দেওয়া হলো না কেন? এর বিচার চাই।

আলোচিত এই ইউটিউবার বলেন, হিরো আলম কারো কাঁধের ওপর ভর দিয়ে এখানে আসেনি। হিরো আলমকে হারানো হয়েছে এটা একটা প্ল্যান, চক্র করে হারানো হয়েছে। হিরো আলমকে প্ল্যান করে হারানো হয়েছে। অনেকে বলছেন, পার্লামেন্টকে ছোট করা হবে, হিরো আলম নির্বাচন করলে। তাহলে পার্লামেন্টে যেতে হলে কিছু আইন করতে হবে। যার যোগ্যতা নেই সে যেতে পারবে না। যার লেখাপড়া নেই সে সংসদে যেতে পারবে না।

আর একটা বিষয়ে আইন করছেন। যারা ভোট করবে স্বতন্ত্রভাবে তাদের ১ শতাংশ ভোটার তালিকা লাগবে। যদি তাই হয়, তাহলে দলীয়ভাবে যারা করবে তাদের ১ শতাংশ লাগে না কেন? আইন সবার জন্য সমান। তাহলে আইন চেঞ্জ করতে হবে। যারা দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের সবার ১ শতাংশ ভোটার তালিকা দিতে হবে। না হলে ১ শতাংশ তুলে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার: আবদুল মঈন খান।

লাইভে সবার উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন, প্রতি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন, বুথে সিসি ক্যামেরা দেন, ইভিএম দেবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিছে। সেটা আমাদের দেশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমে টিপ মারলে একটায়, যায় আরেকটায়।

প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনে হিরো আলম বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ এ দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন (একতারা প্রতীক)। বগুড়া-৪ আসনে তিনি ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পান। তিনি মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের (মশাল প্রতীক) কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরেছেন। এছাড়া বগুড়া-৬ আসনেও তিনি পরাজিত হন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *