সিলেটে বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা
বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা
মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২, ২২:৩০আগামী ১৯ নভেম্বর শনিবার সিলেট নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিভাগের চার জেলার সবকটি উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংঠন সভা ও জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে এই সমাবেশকে ঘিরে সিলেটে চাপা উত্তেজনা ও শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া গণসমাবেশ সামনে রেখে বিয়ানীবাজারে বিএনপির প্রচার মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মুসলিম মিয়া নামের এক শ্রমিক আহত হন। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কায়ূম চৌধূরী বলেন, সর্বকালের বৃহৎ গণসমাবেশে ঘটাতে চান তারা। দীর্ঘ ১০ বছর পর আয়োজিত বৃহৎ এই সমাবেশ সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম করতে চায় বিএনপি। গত দুদিন থেকে মাদরাসা মাঠের পূর্ব দিকে চলছে মঞ্চ নির্মাণকাজ।
দলটির অভিযোগ, সমাবেশ পণ্ড করতে ইতোমধ্যে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। একই সঙ্গে দেশের অন্য স্থানের মতো সিলেটেও সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা বলেছেন, মানুষকে আর ঘরে আটকে রাখা যাবে না। তবে সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অন্যদিকে সিলেট বিএনপিতে বিভেদ ভুলে মুক্তাদির-আরিফ বলয়ে বিভক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও এক হয়ে মাঠে নেমেছেন। সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের বাধা-বিপত্তির কথা মাথায় রেখেই গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। তবে রোববার মৌলভীবাজারে প্রচারণার সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ চারজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় লাঠিপেটা করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করা হয়। মামলা-হামলার ফলে জনগণ সমাবেশের দিকে আরও আগ্রহী হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনজুড়ে ফের ‘অতর্কিত’ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে সিলেট নগরীর সব কটি কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়। আগে ভাগে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের রাখা হবে এসব কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে।
Comments