শুভাগত হোমের জোড়া ছক্কায় শেষ ওভারে ঢাকার জয়

বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা

বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:৪৮

শেষ ওভারে প্রয়োজন ১১ রান। থিসারা পেরেরার করা প্রথম বলে তার মাথার উপর দিয়ে সরাসরি সীমানার ওপারে বল আছড়ে ফেললেন শুভাগত হোম। সমীকরণ দাড়ায় ৫ বলে ৫। দ্বিতীয় বলে কাভার দিয়ে আবার বল বাউন্ডারির বাইরে, ছয়! শুভাগতর টানা দুই ছয়ে চার বল হাতে রেখেই খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারাল মিনিস্টার ঢাকা।

​​​​​​​বাংলাদেশী ক্রিকেটার শুভাগত হোম

লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০ রানের! ঢাকার জন্য সহজ ছিল। তবে তারা জিতেছে একটু কঠিন করেই। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় খুলনা। শেষ পর্যন্ত তারা ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

শুভাগত হোম ৯ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার সঙ্গে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার আরাফাত সানি।

মোহাম্মদ শাহজাদের পরিবর্তে ঢাকার ওপেনিংয়ে নামা ইমরানুজ্জমান (৬) ব্যর্থ হন। ৬ রানে ফেরেন তামিম ইকবালও। খেলার হাল ধরেন জহুরুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ।

দুজনে ৫৫ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তৃতীয় উইকেটে। সিঙ্গেলস-ডাবলসে মনোযোগ দিয়ে খেলেছেন দেখে শুনে। এই জুটিই মূলত জয়ের ভিত গড়ে।

৩৫ বলে ৩০ রান করে জহুরুল আউট হলে ভাঙে এই জুটি। মাহমুদউল্লাহও ফেরেন ত্রিশের ঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৪ রান। এরপর শামসুর রহমান খেলছিলেন দারুণ। দুই ছয়ে মাত্র ১৪ বলে ২৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তিনি যখন ফেরেন দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। এরপর শুভাগত-ওমরজাই ম্যাচ শেষ করে আসেন।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা। ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা ঢাকা প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে খুলনার অবস্থান চারে।

৭ ওভার শেষ না হতেই পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুকছিল খুলনা টাইগার্স। আরাফাত সানি-রুবেল হোসেনদের বোলিংয়ের সামনে চোখে যেন সর্ষে ফুল দেখছিলেন মুশফিকুর রহিমরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দারুণ ফিফটি করেন সিকান্দার রাজা। তাতে মিনিস্টার ঢাকাকে ১৩০ রানের লক্ষ্য দিতে পারে খুলনা।

বিপর্যয়ের মুহূর্তে দলের হাল ধরেন রাজা। আগলে রেখেছিলেন এক প্রান্তে। সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাচ্ছিলেন না। মেহেদী হাসানের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি, থিসারা পেরেরার সঙ্গে ৩৯ ও রুয়েল মিয়াকে নিয়ে গড়েন ৩২ রানের জুটি।

আরও পড়ুন: সাকিবের নৈপুণ্যে কুমিল্লাকে হারিয়ে শীর্ষে ফরচুন বরিশাল।

৪ ছয় ও ৩ চারে রাজা তুলে নেন ফিফটি। আউট হয়েছেন ইনিংসের শেষ বলে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান। এছাড়া ২০ রানের ঘর পেরোতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান। মেহেদী ১৭, পেরেরা ও মুশফিক সমান ১২ রান করেন। প্রথম চার ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন দুই অঙ্কের মুখ না দেখেই। এরপর মুশফিকও ফিরে যাওয়ায় দলের বিপদ বাড়ে।

খাদের কিনারা থেকে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন রাজা। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও আরাফাত সানি। একটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, ফজল হক ফারুকী ও কাইস আহমেদ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *