মেহেদী মিরাজ এর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় পেলো বাংলাদেশ
বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা
রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৪২ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ১ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের স্পিন ভেল্কিতে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী মিরাজ এর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪ ওভার হাতে রেখেই ১ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দিপক চাহারের বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর এনামুল হক বিজয় ক্রিজে এসে দলীয় ২৬ রানে ২৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দেন সাকিব। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন দাস। তবে দলীয় ৭৪ রানে ৬৩ বলে ৪০ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন।
লিটনের বিদায়ের মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব। তবে দলীয় ৯৫ রানে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। ৩৮ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন তিনি। দু’জন মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৩ রান। তবে এরপরেই সাজঘরে ফিরে যান এই দুই ব্যাটার। ইনিংসের ৩৫তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১২৮ রানে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। আর ৩৬তম ওভারের প্রথম বলেই সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ দরেন মুশফিকুর রহিম।
ফুটবলের খবর: প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস।
এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর ধুকতে থাকে বাংলাদশ। ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী মিরাজ। তবে টিকতে পারলেন না আফিফ। দলীয় ১৩৪ রানে ১২ বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে এসে তিন বল খেলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান এবাদত। ১৩৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
ইবাদতের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ। দুই বল খেলে শূন্য হাতে ফিরে যান তিনিও। শেষ ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন মেহেদী মিরাজ। মোস্তাফিজকে এক পাশে রেখে একাই ব্যাটিং চালিয়ে যান মেহেদী। তার ব্যাটিংয়ে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ দল।
শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন হয় বাংলাদেশের। ইনিংসের ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন মোস্তাফিজ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মেহেদীকে স্ট্রাইক দেন তিনি। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখেন মেহেদী।
ইনিংসের ৪৬তম ওভারের প্রথম বলেই চার মারেন মিরাজ। ফলে জয়ের জন্য আর মাত্র ৪ রান প্রয়োজন হয় বাংলাদেশের। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বল ডট দিয়ে চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নেন তিনি।
একই ওভারের চতুর্থ বল নো করেন দিপক চাহার। ফ্রি হিট বল ডট দেন মোস্তাফিজ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ টাই করেন মোস্তাফিজ। ওভারের শেষ বলে চার মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতেন মেহেদী মিরাজ। মোস্তাফিজ ১১ বলে ১০ রান ও মেহেদী মিরাজ ৩৯ বলে ৩৮ রান করে দুজনেই অপরাজিত থাকেন।
Comments