মেহেদি হাসান মিরাজের সেঞ্চুরীতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭১ রান

বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:১৮

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরাজের সেঞ্চুরীতে ভারতকে ২৭২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল বাংলাদেশ। ৮৩ বলে নিজের শতক পূরণ করেন টাইগার আলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।

মেহেদি হাসান মিরাজের সেঞ্চুরী

প্রথম ওয়ানডেতে তার দৃঢ়চিত্তের ব্যাটিংয়েই ১ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বিপর্যয়ের মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংসের শেষ বলে তুলে নিলেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশকে নিয়ে গেলেন ২৭১ রানের বিশাল সংগ্রহে।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জেতার জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৭২ রান।

প্রথমে ব্যাট হাতে এনামুল হক বিজয়কে দেখে মনে হচ্ছিল ছন্দে আছেন। ফ্লিক করেছিলেন, খেলেছিলেন দৃষ্টনন্দন কাভার ড্রাইভ। কিন্তু টানা দুই বাউন্ডারি হাকানো ওভারেই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি বিজয়। পায়ে লাগলে আবেদনের সঙ্গেই সাড়া দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়, কিন্তু লাভ হয়নি। শুরুতে উইকেটের সঙ্গে রিভিউও হারায় স্বাগতিক শিবির। ৯ বলে ১১ রান আসে এনামুলের ব্যাট থেকে।

দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারানোর পর লিটন-শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগার শিবিরে আবারও আঘাত করেন মোহাম্মদ সিরাজ। এবার লিটনকে সরাসরি বোল্ড। লিটন ২৩ বলে ৭ রান করেন ফিরে যান।

লিটনের পর সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে ভালো ইনিংসের সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু ২১ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। ১৫১ কিলোমিটার গতিতে আসা উমরান মালিকের বল শান্তর অফ স্টাম্প উপড়ে ফেলে। তার ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চারের মারে।

সাকিব আল হাসানও নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ওয়াশিংটন সুন্দরের বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন সাকিব। বল উঠে যায় উইকেটের পেছনে। সহজ ক্যাচ ধরেন ধাওয়ান। ২০ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।

আরও পড়ুন: মেহেদী মিরাজ এর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় পেলো বাংলাদেশ।

সাকিবের পর মুশফিকও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। সুন্দরের বল সামনে এসে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। বল গ্লাভসে লেগে যায় ধাওয়ানের হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় ভারত। ২৪ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। পরের বলেই আফিফ হোসেন বোল্ড। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন আফিফ। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপরই দলের হাল ধরেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের ব্যাটিংয়ে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৪৮ রানে থামে তাদের জুটি। উমরানের বলে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ ৯৬ বলে ৭৭ রান করেন।

পরে নাসুম আহমেদ নেমে মিরাজকে ভালো সঙ্গ দেন। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মিরাজ। অসাধারণ ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত থেকেছে অপরাজিতই। মেহেদি হাসান মিরাজ ৮ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৮৩ বলে ১০০ রান করেন। রোমাঞ্চকর অপেক্ষা শেষে ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে পূর্ণ করেন নিজের শতক। আর নাসুম আহমদ ১১ বলে ১৮ রানের করে ছিলেন অপরাজিত।

ভারতের হয়ে ওয়াশিংটন সুন্দর তিন ও উমরান মালিক-মোহাম্মদ সিরাজ নেন দুই উইকেট করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *