বিধ্বস্ত হয়ে ফিরলেন গুম হওয়া রবীন্দ্রনাথ

বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৫১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নির্মিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবাদী ভাস্কর্যটি ‘গুম’ হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া খণ্ড-বিখণ্ড ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ জোড়াতালি দিয়ে আবারও ঢাবির টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্থাপন করা হয়েছে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সেন্সরশিপ ও নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাবির চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিবাদী ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেখা যায় ভাস্কর্যটি নেই!

ভাস্কর্যটিতে দেখা গিয়েছিল, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখ স্কচটেপ দিয়ে বন্ধ করা ও হাতে গীতাঞ্চলিতে পেরেকবিদ্ধ করে রাখা। তবে ‘গুম’ হওয়ার পর ভাস্কর্যটি এখন কোনোভাবেই আগের মতো চেনা যায় না।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের ১৩ দিন পর শিশুসহ তিনজন জীবিত উদ্ধার।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভাস্কর্যটি বানানো হয়েছে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীলতার প্রতীক এবং এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই মূল্যবোধ আমাদের সমাজের জন্য অপরিহার্য। স্বাধীনতা হরণকারী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদেও এ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ভাস্কর্যটি ‘গুম’ হওয়ার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে লিখে দেওয়া হয়েছিল, ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ!’ তবে এ ‘গুম’ কারা করেছে সে বিষয় এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী জানিয়েছিলেন, এটি কারা করেছে, কেনো করেছে এ বিষয়টি ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে তা পরিষ্কার নয়। ভাষ্কর্যটি নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *