চুয়াডাঙ্গায় উপবৃত্তি পাওয়া ছাত্রীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন নেওয়ার অভিযোগ
বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা
সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২, ২১:৫৬চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জে ছাদেমাননেছা বালিকা বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাওয়া ছাত্রীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহর বিরুদ্ধে।
সরকার উপবৃত্তি দেওয়া ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ার সহযোগিতার জন্য টিউশন ফিস দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে কোন মাসিক বেতন নেওয়ার কোন নির্দেশ দেয়নি, তবুও ছাদেমান নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেদারছে মাসিক বেতন নিয়ে যাচ্ছে।
পাশ্ববর্তী স্কুল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান,আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা যারা উপবৃত্তি পেয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে কোন মাসিক বেতন নেওয়া হয় না, তবে এখনতো উপবৃত্তি ছাত্র ছাত্রীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসে অনেক সময় আমরা জানতে পারিনা, সে ক্ষেত্রে ওই সকল ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের কাছে জানাতে হবে যে আমি উপবৃত্তি পেয়ে থাকি। তাহলে আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন নেব না।
সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে সকল ছাত্র ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পাই তাদের কাছ থেকে কোন মাসিক বেতন নেওয়া হয় না।
তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, যে সকল শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পাই, তাদেরকে মাসিক বেতন মওকুফ করার নিদের্শ আছে, সেই ক্ষেত্রে আমাদের বিদ্যালয়ে যে সকল ছাত্র ছাত্রী উপবৃত্তি পাই তাদের কাছ থেকে কোন মাসিক বেতন নেওয়া হয় না।
ছাদেমাননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেণির ছাত্রী পিয়া খাতুন অভিযোগ করে জানান, আমি সহ অনেক ছাত্রীরা উপবৃত্তি পেয়ে থাকে, উপবৃত্তি পাওয়া সত্বেও আমাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৮০ টাকা করে বেতন নিয়ে থাকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ।
আমাদের আরও সংবাদ পড়ুন: দেশের সকল আদালতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ।
আমরা এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক স্যার আবু সালেহ কাছে বলে ছিলাম যে স্যার আমরাতো উপবৃত্তি পায় তাহলে আমরা কেন বেতন দেব, পাশ্ববর্তী সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে যারা উপবৃত্তি পেয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে কোন মাসিক বেতন নেয় না আমাদের কাছ থেকে কেন নেন,? তিনি জবাবে বলেন আরে পাগল তোদের এসব কথা কে বলেছে যে তোদের কাছ থেকে বেতন নেওয়া হয়, তোদের কাছ থেকে তো বিদ্যালয়ের পরিকল্পনার জন্য টাকা নেওয়া হয়, বেতন নেওয়া কাকে বলে যার কাছ থেকে ১ হাজার ২ হাজার করে টাকা নেওয়া হয় তাকে বেতন নেওয়া বলে।
একই শ্রেণির ছাত্রী লাবনি খাতুন জানান,আমি উপবৃত্তি পেয়ে থাকি আমার পিতা একজন মানুষিক রোগি, ঠিক মতো উপার্জন করতে পারেনা। আমার কাছ থেকেও প্রতি মাসে ৮০ টাকা করে বেতন নেয়। শুধু আমার কাছ থেকে একা নেয় না বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রীর কাছ থেকে বেতন নিয়ে থাকে যেমন ৮ শ্রেণির ছাত্রী শিরিন সুলতানা, নাগিস খাতুন, সিমা খাতুন, সিমি খাতুন, রাখি খাতুনসহ বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্রীর কাছ থেকে বেতন নেয়।
এবিষয়ে ছাদেমাননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ জানান, কোন ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তি পাই বা না পাই এর ভেতরে না। তাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ম্যানেজমেন্টের ফি বাবদে নেওয়া হয়। উপবৃত্তির টাকা দেয় সরকার ১৫ টাকা করে যা এতো বড় প্রতিষ্ঠান চলে,সরকার বলেছে তোমরা উপবৃত্তি নিলে নেও না নিলে না নাও। সরকার যে টাকা দেয় যা ঘাস মারা বিষ ও কেনা হয় না।
বিষয়টি উদ্ধতন কর্মকর্তা দেখবে বলে মনে করছে ভুক্তভোগী সকল শিক্ষার্থীরা।
Comments