ক্ষুব্ধ চিত্রনায়িকা মুনমুন বললেন, এটা কোনো কথা!

বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা

মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:৪৭

আমরা শিল্পীরা একই পরিবার। আমি নিজে শিল্পী হয়ে এই ঘটনার জন্য আরেকজন শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা করলে ওই শিল্পী পরিবারও সমাজে ছোট হয়ে যাবে। সেই ছোট হওয়াটা আমার নিজের গায়েই লাগবে। তাই নিপুণের বিরুদ্ধে মামলা করব না। চিত্রনায়িকা মুনমুন সোমবার রাতে বিএফডিসির বাগানে জায়েদ খানের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

ক্ষুব্ধ চিত্রনায়িকা মুনমুন

ভোটের দিন জায়েদ খান ও তাকে জড়িয়ে যারা ভিডিও ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা মুনমুন বলেন, কিছু ইউটিউব চ্যানেল আমার টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে ভিডিও ভাইরাল করেছে। এতে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার মানসম্মান শেষ করে দিয়েছে। আমাদের শিল্পীদের পারিবারিক সংগঠনের একটি নির্বাচন এটি। সেই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য কেন আমি টাকা নেব? এটি মুখে আনতেও তো লজ্জা লাগছে। যেসব ইউটিউব চ্যানেল এই ভিডিও ছড়িয়েছে, খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

কবে করবেন মামলা, সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে চিত্রনায়িকা মুনমুন বলেন, প্রস্তুতি নিচ্ছি। সোমবার রাতেও করতে পারি। না হলে আগামীকাল।
এত দেরিতে মামলা কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, নির্বাচনের পরের দিনই আইনের আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরিচালক মালেক আফসারি আমাকে নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। পরে আর করা হয়নি। তাই দেরি হলো।

চিত্রনায়িকা মুনমুন ও জায়েদ খান

এদিকে মামলা না করতে চাইলেও সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ ঝেড়ে নিপুণের উদ্দেশে গণমাধ্যমকর্মীদের এই অভিনেত্রী বলেন, নিপুণ তুমি একজন শিল্পী। তুমি কীভাবে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই এই মিথ্যা ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরলে? তুমি নির্বাচন করেছ নেতা হওয়ার জন্য। আমাদের ভোটেই তো তুমি নেতা হবা। কিন্তু একজন শিল্পীকে অসম্মান করে তুমি কি নেতা হতে পারবা?

সংবাদ সম্মেলনে মুনমুন নিজ থেকেই টাকা নেওয়ার অভিযোগের ভিডিওটি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ভোটের দিন এফডিসির মূল গেট দিয়ে ঢুকেই প্রথমে শাহনূরের সঙ্গে দেখা হয়। এরপর ৩ নম্বর ফ্লোরের কোনায় জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা।
তখন আমার মুখে একটি মাস্ক ছিল। সেটা খুলে হাতে রাখি। জায়েদ খান এগিয়ে এসে তাদের প্যানেলের প্রার্থীদের একটি ভাজ করা পোস্টার আমার হাতে ধরিয়ে দেন। ওই হাতেই মাস্কটি ছিল। আমি তখন আস্তে আস্তে মাস্কটি আমার ভ্যানিটি ব্যাগে রাখি।

এরপর জায়েদ আমার হাত থেকে নিয়ে পোস্টারটি খুলে বললেন, আপা, আমার প্যানেলের সবাইকে ভোট দেবেন। কথা এতটুকুই। ব্যাগে মাস্ক রাখাটাই কাল হয়েছে আমার। সবাই ওটাকে টাকা রাখার গুজব ছড়িয়েছে। এটা কোনো কথা!

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *