আন্তর্জাতিক মানের কোনো ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা
রবিবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:২৪এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার জাতীয় সংসদে এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এম আব্দুল লতিফ মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। সরকার দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করবে?
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উৎপাদিত ওষুধ পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য ঢাকায় ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি ও চট্টগ্রামে কন্ট্রোল টেস্টিং ল্যাবরেটরি নামে দুইটি পরীক্ষাগার কার্যকর রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি বলেন, ট্র্যাডিশনাল ওষুধের মান নিশ্চিতের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে ট্র্যাডিশনাল ল্যাবের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও স্থাপনের কার্যক্রম চলমান। রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে আরও দুটির স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এনসিএলে কেমিক্যাল ল্যাবটি আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট ও ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত। ভ্যাকসিন ল্যাব ডব্লিউএইচও, এমএম-৩ অর্জনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যক্রম চলমান। তিনি জানান, আশা করা যায় এ বছরের মধ্যে এমএল-৩ অর্জন করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণে ভারতের আগ্রহ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের হেলথ সার্ভিসে অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে এগুলো নিয়ে খোলামেলাভাবে বলার সুযোগ নেই। আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। যদিও কোন রোগের জন্য কতজন স্পেশালিস্ট প্রয়োজন, সেটি নির্ণয় করছি। আমরা জনবল সমস্যা দ্রুত সমাধান করব।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইউরোলোজিক্যাল সার্জন্স আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চিকিৎসা খাতকে ডিজিটালাইজড করছি। কোভিডে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। জনবল নিয়োগে ইতোমধ্যে নতুন অর্গানোগ্রাম করছি। এ মুহূর্তে হেলথ মিনিস্ট্রিতে জনবল আছে ৩ লাখ। নতুন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ জনবল লাগবে। যদিও সরকার রাতারাতি এগুলো দিতে পারবে না।
Comments