এই সরকারের পাত্তা থাকবে না: খন্দকার মোশাররফ

বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:৩৮

মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পাত্তা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে মগবাজার অভিমুখে গণমিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এর নমুনা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল। দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, জনগণ যদি নিজের হাতে নিজে ভোট দিতে পারেন, এই সরকারের কোনো পাত্তা থাকবে না।

রংপুর সিটি নির্বাচনে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার অনেক বড় বড় কথা বলে। একটা নির্বাচন (রংপুর) দেখেছেন, জামানত বাতিল হয়ে যায় নৌকার। এগুলো কিন্তু সরকারকে আসলে সিগন্যাল দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন এটাই অবস্থা। আসলে এই সরকারের সময় শেষ।

আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

সরকারদলীয় নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনেকে বলে জনগণ নাকি আমাদের সঙ্গে নেই। জনগণ আছে কি নেই, আমি সরকারকে, তাদের যারা গোয়েন্দা সংস্থা, তাদের বলব, আজকের গণমিছিলটা দেখে যান। আগামী দিনে এই জনগণই গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আপনাদের বিদায় করবে- এই গণমিছিল তারই নমুনা।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আপনারা তো বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় আপনারা পাহারা দেবেন। পাহারা দিয়েছেন, কিন্তু জনগণকে আপনারা ঘরে রাখতে পারেননি।

জুমার নামাজের আগেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তা কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। কর্মসূচি মগবাজার মোড়ে এসে শেষ হলেও নেতা-কর্মীরা ফিরতি মিছিল নিয়ে আবার একই পথে নয়াপল্টনে যান।

বিএনপির সমাবেশ খন্দকার মোশাররফ

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২৪ হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী জেলে। কিন্তু আমাদের দমাতে পারেনি। তারা মনে করেছিল, ১০ ডিসেম্বর আগে মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করলে বিএনপির গণসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাবে, হয়নি। যত গ্রেপ্তার, যত নির্যাতন হোক, রাস্তায় শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরাই নন, জনগণও নেমে গেছে। আর তাদের দাবানো যাবে না।

সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-লুটপাটের অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা এ দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে ও দেশ থেকে টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অনেক ব্যাংকের তারল্য নেই, ডলারের মজুত কমে গেছে, আমদানিকারকেরা এলসি খুলতে পারছেন না। গত ১৪ বছরে এ সরকার যে ঋণ করেছে, এখন তারা ঋণের কিস্তি দিতে পারছে না। অর্থনীতি ধ্বংসের সীমানায় চলে গেছে।

আরও পড়ুন: মেট্রোরেল উদ্বোধন স্মারক নোট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসবের জন্য এই সরকারের বিদায় প্রয়োজন মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সহজে কোনো স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের বিদায় করতে হয়। কোনো স্বৈরাচার বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি।

আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে ‘গণ-অবস্থান’ কর্মসূচি ঘোষণা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগপৎ আন্দোলনে শরিক সব দল, জোট, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে তাতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে সফল করে আপনারা সরকারের বিদায়ের দ্বিতীয় সতর্কবার্তা উচ্চারণ করবেন।

গণমিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে মগবাজার মোড়ে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সমাপনী বক্তব্য দেন। জুমার নামাজের আগেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তা কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। কর্মসূচি মগবাজার মোড়ে এসে শেষ হলেও নেতা-কর্মীরা ফিরতি মিছিল নিয়ে আবার একই পথে নয়াপল্টনে যান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *