ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছে ক্ষমা চাইল বিমান সংস্থা
বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা
বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২, ২২:৫১শুটিংয়ের কাজে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) আমদাবাদে যাওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে বিমানবন্দরে পৌঁছানোয় বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি তাকে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটি শেয়ার করে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার ঝামেলার অবসান হয়েছে। ইন্ডিগো নামের বিমান সংস্থা টুইট করে ভারতের কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কছে ক্ষমা চেয়েছে।
বিমান সংস্থাটি টুইটে লিখেছে, আপনার অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। অনেক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কোনও ভাবে সফল হইনি। আপনার সুবিধামতো একটা সময় বলুন, আপনার সাথে যোগাযোগ করে আমরা কথা বলে নেব।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিমান না ধরতে পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন টলিগঞ্জের এই নায়িকা। জানিয়েছিলেন, কয়েক মিনিট দেরি করে যাওয়ায় তার বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি।
এরপর সেখানকার দায়িত্বরত কর্মীদের অনুরোধ করেন ঋতুপর্ণা। ৪০ মিনিট ধরে তর্ক-বিতর্ক এমনকি কান্নাকাটি করার পরেও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ছাড়াই উড়ে যায় আহমেদাবাদের বিমান। সেখানে শ্যুটিং ছিল তার। বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটি শেয়ার করে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আমদাবাদের ফ্লাইট ধরার জন্য কলকাতা এয়ারপোর্টে যাত্রীদের ১৯ নম্বর গেট দিয়ে বোর্ডিংয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল ৪টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছান ৫টা ১০ থেকে ৫টা ১২ মিনিটের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জানানো হয়, বোর্ডিং গেট অনেক ক্ষণ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও বিনোদন সংবাদ পড়ুন: রাজকুমার হয়ে আসছেন সুপারস্টার শাকিব খান।
এই ঘটনায় ঋতুপর্ণা বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার দাবি জানান, তিনি ঠিক কতক্ষণ দেড়িতে পৌঁছেছিলেন সেখানে তা দেখার জন্য। শুধু তাই নয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে যাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেজন্যও কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ইন্ডিগো বিমান সংস্থার কাছেও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিগোর ক্ষমা চাওয়ার টুইটের ছবিটি পোস্ট করে এই অভিনেত্রী লেখেন, ক্ষমা চাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বিমান ছাড়ার ২৫ মিনিট হওয়ার আগেই বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। তাতে যাত্রীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় সংস্থাকেও।
বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে আমাকে আরও দু’টি বিমান ধরে কাজে পৌঁছতে হয়। তার মধ্যে একটি কাজে উপস্থিত থাকতে পারিনি আমি। আশা করি, এমন ঘটনা বারবার হবে না। কেবল আমার জন্য নয়, সহ-নাগরিকদের সুবিধার্থেই এই অনুরোধ করছি।
Comments