আফিফ ও মিরাজের ব্যাটে টাইগারদের অবিশ্বাস্য জয়

বার্তাসেন্টার সংবাদদাতা

বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:৪০

স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী আফগানিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফিফ ও মিরাজের ব্যাটে এক রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।

আফিফ ও মিরাজের ব্যাটে অবিশ্বাস্য জয়

আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ‘সাগরিকা’খ্যাত চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় আফগানরা।

আফগানিস্তান ৪৯.১ ওভারে সংগ্রহ করে ২১৫ রান। এই রান করতে তারা সবকটি উইকেট হারায়। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।

জবাবে ৪৫ রানে মধ্যে ৬ উইকেট হারালেও আফিফ ও মিরাজের ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেটের অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানে বিপক্ষে ৫০ রানের আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেই সময়ে ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ান মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে বাংলাদেশকে চার উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।

২১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ফজল হক ফারুকির লেন্থ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শুরুতে আম্পায়ার সাড়া দেয়নি। আফগানিস্তান রিভিউ নিলে ফল তাদের পক্ষে যায়। মাত্র ১ রান করেন লিটন।

লিটন দাসের পর একই ওভারে ১ বল পর এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিলে এটিও পক্ষে যায় আফগানিস্তানের। তিনি ৮ বলে ৮ রান করেন।

তামিম-লিটনের বিদায়ের পর শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বেড়ে যায় মুশফিকুর রহিম আউটে। পাঁচ বলে তিন রান করে আবারও এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়েন মুশফিকুর রহিম।

আফিফ ও মিরাজের ব্যাটে জয়
আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজ

এরপর রানের খাতা খোলার আগেই শূন্য রানে বোল্ড হন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বি। ফজল হক ফারুকির লেন্থ বল বুঝতেই পারেননি ইয়াসির। ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন, বল ব্যাট মিস করে উড়িয়ে দেয় স্ট্যাম্প। মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে ১০ রান করে মুজিব উর রহমানের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান।

বোলিং করতে এসেই সাফল্য পেয়ে যান রশিদ খান। দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। ৮ রান করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন শরিফুল।

এরপর দলের বিপর্যয়ে আফগান বোলারদের সামনে দেয়াল হয়ে দাড়ান মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন। এটিই ছিল বাংলাদেশের শেষ ভরসার জুটি। সপ্তম উইকেটের জুটিতে রেকর্ড গড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দুইজনে যোগ করেন ১৭৪ রান। ওয়ানডে ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ জুটি।

এর আগে ১২৭ রান ছিল ইমরুল কায়েস-সাইফ উদ্দিনের। তারা ২০১৮ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই জুটি গড়েছিলেন। আজ তাদের পেরিয়ে গেছেন আফিফ-মিরাজ। দুইজনের ১৭৪ রানের এই জুটিতে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের হাসি হেসেছে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ধ্রুব ১১৫ বলে ৯৩ রান ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১২০ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *