আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম নাম গীতিকবি দেহী ফারুক
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৪অনন্ত চেতনার গীতিকবি দেহী ফারুক একজন বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী। যিনি আধ্যাত্মিক গীতিকবিতা, গীতি গান, দর্শন শাস্ত্র রচনা ও সুর করেন। তার রচয়িত সমস্ত গানগুলো ফারুকগীতি নামে প্রকাশিত হচ্ছে।
সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে বাংলায় স্নাতক শেষ পর্বের পড়াকালীন সময়ে দেহী ফারুকের মধ্যে অনন্ত সাধন দর্শনের ভাব উদয় হয়। এরপর থেকেই তিনি সত্য দর্শনের মাঝে ডুবে যান। রচনা করতে থাকেন একের পর এক আধ্যাত্মিক গীতি গান, গীতিকবিতা ও দর্শন শাস্ত্র।
তার সংগীতকর্মগুলো ইউটিউবে “Faruk Geeti-ফারুক গীতি” ও “Dehi Faruk-দেহী ফারুক” অফিসিয়াল চ্যানেলে বেশ কয়েকটি এ্যালবাম প্রকাশিত হচ্ছে। কয়দিনের বসত, কেয়ামতের দিন, এক খোলা আকাশ, হাসন রাজার গোঁফ, বাইচা রবে মন, আপনার মসজিদে আযান, জাতের যেখানে ছুটি, প্রাণের মানুষ হাসুক, আমার বাংলা ভাষা, আল্লাহু যার প্রাণ, দিল হরা ফকিরি, নরকের সাত চুলা তোমারী মহিমা গীতি ও কবি রবীন্দ্রনাথ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
তিনি জীবন ও জগৎ নামে একটি দর্শন শাস্ত্রও রচনা করেছেন। এবং এ যাবত তিনি সহস্রাধিক গীতিকবিতা ও গীতি গান রচনা ও সুর করেছেন। যা মানব কল্যাণে এক অনন্য বাণী।
গীতিকবি দেহী ফারুক ১৫ নভেম্বর ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দ, ৩০ শে কার্তিক ১৩৮০ বঙ্গাব্দ, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। গীতিকবির পিতা মরহুম হাজী এ.কে আজাদ ও মাতা মরহুমা হাসিনা আজাদ।
দেহী ফারুক নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে বদরগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস ও কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ সরকারি মাইকেল মধুসূধন কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক করেন।
এ যাবত তিনি তার নিজ অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “দেহী ফারুক রেকর্ডিং মিডিয়া” ও “ফারুক গীতি” ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে ৩০০ টিরও বেশি গীতি গান ভিডিও আকারে প্রকাশ করেছেন। এবং এখন পযর্ন্তও তার নতুন নতুন গানগুলো প্রকাশ করে চলেছেন।
Comments